ডা: আব্দুল ওয়াদুদ,গোমস্তাপুর প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়েছেন গোলাম রসুল (৪৫) নামের এক প্রশিক্ষক। সোমবার (২৯ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বারোঘরিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ টিটিসি ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে।
টিটিসির ড্রাইভিং প্রশিক্ষক গোলাম রসুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার কল্যানপুর রিপোর্টার এসএম রুবেলের বাড়ির সামনে মহল্লার মৃত আলাউদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তিনি,চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সেপ প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হেভী ইকুইপমেন্ট অপারেশন কোর্সের প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 
টিটিসির প্রশিক্ষক,প্রশিক্ষণার্থী, শিক্ষক,নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক নতুন প্রশিক্ষণার্থীকে গোলাম রসুল ফর্কলিপ গাড়ির প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। এমন সময় ওই প্রশিক্ষণার্থী ব্যাক-গিয়ার নেওয়ার সময় আকস্মিকভাবে প্রশিক্ষক গোলাম রসুলকে ধাক্কা দেয়।
গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন প্রশিক্ষক গোলাম রসুল। পরে অন্যান্য প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থীরা ওই প্রশিক্ষককে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে,ওই গাড়ি প্রশিক্ষককের পরিবারের সদস্যদের দাবি,ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের ছোট ভাই ও স্ত্রী বলেন,নিহত গোলাম রসুল তার চাকুরি নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। অধ্যক্ষের সাথে যেকোন বিষয় নিয়ে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে একাধিকবার জানিয়েছেন। এরপরই সোমবার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় গোলাম রসুলকে।
এসময় গোলাম রসুলের পরিবারের একাধিক সদস্য হাসপাতালের ভিতরে টিসিসির অধ্যক্ষ মইন উদ্দিনকে জেরা করতে দেখা যায়। এসময় অধ্যক্ষ মইন তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। 
ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট রয়েছে জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-টিটিসির অধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন বলেন,এটি একটি দূর্ঘটনা। এই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। নতুন প্রশিক্ষণার্থী গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছনে থাকা প্রশিক্ষক গোলাম রসুলকে ধাক্কা দেয়। এসময় পেছনের একটি গাছ ও গাড়ির ধাক্কায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় প্রশিক্ষক গোলাম রসুলের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান,নিহতের পরিবার থানায় মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।